আমেরিকা, এশিয়া,ইউরোপ, আফ্রিকা এবং ওশেনিয়ার যত বৃত্তি আছে বাংলাদেশীদের জন্য।
শর্ট কোর্স, ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পি. এইচ. ডি.।
আমাদের দেশে প্রতি বছর আনুমানিক তিন লাখ HSC পাশ শিক্ষার্থী কোথাও উচ্চ শিক্ষায় কোন সিট পায়না এবং এক রিপোর্টে বলা হয়েছে দেশে শিক্ষিত বেকার পনের লাখেরও বেশি! যেহেতু দেশে তেমন সুযোগ নেই আমাদের, তাই তরুণ প্রজন্মের জন্য বাহিরের দেশ থেকে স্কিল বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। আশা করি আমার এই ক্ষুদ্র চেষ্টা হাজারো শিক্ষার্থী উপকারে আসবে।
নিম্নে লেখা বেশিরভাগ বৃত্তি গুলো শুধু মাত্র IELTS বা IELTS ব্যতিত রানিং চাকরী দিয়ে আবেদন করতে পারেন ব্যাচেলরে (IELTS only) ও মাস্টার্সের বৃত্তি গুলোতে। PHD-এর জন্য ভিন্ন পদ্ধতি। USA & Canada তে SAT, GRE, GMAT এবং কিছু দেশে তাদের ভাষা শিখতে হয়। শর্ট কোর্সে IELTS লাগেবেনা তবে চাকরী বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। তাই লিংকে প্রবেশ করে জেনে নিন কি কি কাগজ লাগাবে, আবেদনের সময় এবং প্রক্রিয়া।
★★ শিক্ষা বৃত্তি নিয়ে একটা কথা। স্কলারশিপ কোন এজেন্সি, কোন মানুষ বা প্রোফেসর আলাদা কাওকে স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পক্রিয়া থেকে শুরু করে স্কলারশিপ পর্যন্ত সকল ধাপ গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন বোর্ড, বৃত্তি মঞ্জুরি কমিশন একটি সচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্যে করে থাকে। তাই বৃত্তি, ভিসা, স্টাইপিন পেতে আপনার যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে সবসময়।
আমরা শুধু আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারি যেন কারো মিথ্যা মনভোলানো কথায় কোন ফাঁদে পা না দেন।
চলুন শুরু করা যাকঃ-
North America
USA:
ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা গবেষণার জন্য সব সময়ই আমেরিকা সকলের লিস্টের প্রথমে থাকে। কারণ সবচাইতে বেশি স্টাইপেন, উন্নত শিক্ষা, স্থায়ীভাবে বসবাস, ভালো গবেষণার সুযোগ এবং বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলো এদেশে থাকায় শিক্ষার্থীরা আমেরিকাকে পছন্দের শীর্ষে রাখে। এমনকি তাদের প্রফেসরদের লেখা বই গুলো ইউরোপ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাঠ্যবই হিসেবে পড়ানো হয়।
তবে সকলেই হার্ভার্ড বা এম. আই. টিতে চান্স পাবেনা। এবং সেল্ফ-ফান্ডে পড়াশোনা করার জন্য আবেদন করতে চাইলে মাথায় রাখতে হবে ভিসা জটিলতার কথা। পাশাপাশি খন্ডকালীন চাকরী করার অনুমতি নেই এদেশে।
Fulbright Scholarship:
AAW International Fellowship For Women:
…/education…/international-fellowships/
Canada:
মাইগ্রেশান বা উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা অনেকেরই স্বপ্নের দেশ। স্বপ্ন বাস্তব করতে হলে GRE, IELTS স্কোর ভালো থাকতে হবে মাস্টার্স এবং গবেষণার শিক্ষার্থীদের। প্রফেসর মেনেজ করার জন্য একটু পরিশ্রম করতে হবে।
Vanier CGS:
★ সবচাইতে জরুরি একটা বিষয় আমাদের শিক্ষার্থীদের মাথায় রাখতে হবে তা হলো, উচ্চ শিক্ষা শুধু মাত্র আমেরিকা, কানাডা বা ইউরোপেই হয় অন্য কোথাও পড়াশোনা হয় না এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাই সারা বিশ্বের বৃত্তি ও কোথায় কি সুবিধা আছে তাই তুলে ধরার ক্ষুদ্র চেষ্টা করা মাত্র।
Bahamas:
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাশে ছোট কিছু দ্বীপ নিয়ে সুন্দর একটি দেশ। শুনেছিলাম এখানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইমেইলের তেমন রেসপন্স পাওয়া যায় না। ২০১৬ এর দিকে কিছু শিক্ষার্থী গিয়েছিল। নতুন কোন আপডেট জানা নেই। যেহেতু বাংলাদেশি এখানে নাই বললেই চলে তাই ব্লগ এবং গুগল থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। মাস্টার্স শিক্ষার্থীরা চেষ্টা করবেন যদি সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপন্স পান তাহলে একটু চেষ্টা করবেন।
আমাদের দেশের এডুকেশন কনসালট্যান্ট গুলো এই দেশ নিয়ে তেমন কিছু জানেনা তাই তাদের বাহারি মন ভোলানো বিজ্ঞাপন দেখতে পাননা। এদেশে পড়তে যেতে হলে নিজে থেকে চেষ্টা করার বিকল্প নেই। তবে শুধু মাস্টার্স শিক্ষার্থীরা আবেদন করবেন।
Mexico:
মেক্সিকো সরকারের বেশ প্রসিদ্ধ একটি বৃত্তির নাম AMEXCID। গবেষণার জন্য বেশ ভালো কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সাথে AMEXCID বৃত্তি পেলে মেক্সিকো আপনার লিস্টে রাখতে পারেন।
AMEXCID:
Brazil:
ব্যাচেলরের জন্য ব্রাজিল সরকার বৃত্তি দিয়ে থেকে। এমনকি বিমান ভাড়াটাও সরকার দিয়ে থাকে। সুতরাং বেশ ভালো কিছু সুযোগ আছে আমাদের জন্য। মাস্টার্স বা গবেষণার জন্য এখনো আমাদের দেশে ব্রাজিলের ফ্রী শিক্ষার বিষয়টি পরিচিতি পায়নি। শুধু এতটুকু বলবো দেশের কোথাও উচ্চ শিক্ষায় সুযোগ নাহলে, বা গ্রাজুয়েশন শেষ করে বেকার বশে থাকার চাইতে কোথাও ফ্রী শিক্ষা নেয়া বা ট্রেনিং নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ। অন্যদিকে অাপনার দক্ষতা বাড়বে। তাই ভেবে দেখবেন।
Asia
Japan:
জাপানের মেক্সট বৃত্তি পাওয়া একটু কম্পিটেটিভ, তবে বেশ সম্মানজনক একটি বৃত্তি যা কম বেশি সকলেই জানি। ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পি. এইচ.ডি. সকলেই আবেদন করতে পারেন।
MEXT:
http://www.mext.go.jp/a_me?fbclid=IwAR0dFVoHdNtarU5BmHZ2iwlJ1LyxHS4Z_xXENDsUfP4Vr9vVHN0SZvZn0JA
For undergraduate:
…/2019/04/17/scholarships_2019_e.pdf
South Korea:
একটু কমপিটেটিভ জাপানের মত। কারণ বৃত্তি সংখ্যা সীমিত। যার যোগ্যতা যত বেশি সে লিস্টের মধ্যে থাকবে। এদেশে ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা গবেষণার জন্য সকলেই আবেদন করতে পারেন।
KGSP:
আমাদের দেশে কিছু ফার্ম কোরিয়া নিয়ে মন ভোলান বিজ্ঞাপন দেয়। কখনোই তাদের কাছে পরামর্শ চাওয়ার জন্যও যাওয়া যাবেনা।
China:
আনেক বিশ্ববিদ্যালয়, অনেক সুযোগ। ব্যাচেলরে স্টাইপিন দেয় এবং প্রচুর শিক্ষার্থী যাচ্ছে। মেডিকেল শিক্ষার্থীরা একটু খোঁজ নিয়ে যাবেন যে কোথায় যাচ্ছেন মেডিসিন পড়তে। কারণ বাংলাদেশ সরকারের আলাদা নীতিমালা আছে এই বিষয়ে। একটি সমস্যা আছে আবেদনের সময়। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তাদের রিপ্রেজেনটেটিভ ছাড়া রেসপন্স দেয়না। তবে হাজারো বিশ্ববিদ্যালয় আছে যারা এজেন্ট ছাড়া কাজ করবে। তাই একটু খোঁজ নিতে পারেন চায়নার গ্রুপ গুলোতে।
CSC:
Hong Kong:
বাংলাদেশ থেকে অনেকই যাচ্ছেন। ভালো একটা সিদ্ধান্ত হবে যদি পড়াশোনা করতে চান। কারণ এশিয়ার সহ পৃথিবীর শেরা বিশ্ববিদ্যালয় এখানে পাবেন। ব্যাচেলর বা মাস্টার্স, গবেষণা বা শর্ট কোর্সের জন্য আমাদের জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে।
HKSAR:
…/publicly-funded-p…/scholarship.html
হংকং এর সাথে ব্যাচেলর শিক্ষার্থীরা মেকাও ও তাইওয়ানের একটু খোঁজ নিতে পার গুগল করে।
Malaysia:
অনেকেই বলে থাকে বিজনেস স্টাডিজের জন্য ভালো স্কলারশিপ নাই। আপনারা একটু মালয়শিয়ায় সুযোগ গুলো লুফে নেন। এখানে পশ্চিমা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কেম্পাস আছে। অন্তত দক্ষতা বাড়বে।
MIS:
Brunei:
ছোট একটি দেশ। আমার এক বন্ধু সাম্প্রতি ব্যাচেলর শেষ করলো। মাঝেই কথা হইত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে। স্টাইপিন দেয়, বাসা দেয়। অনেকে আছেন ইসলামি সংস্কৃতির মধ্যে পড়াশোনা করতে চান। তারা ব্রুনেই বেছে নিতে পারেন।
UBD:
Singapore:
Singapore International Graduation Award:
বুঝতেই পারছেন গ্রাজুয়েশনের জন্য সিংগাপুর সরকার বৃত্তি দেয়। কনস্ট্রাকশন বা মেরিন সাইন্সের জন্য ভালো সুযোগ আছে।
…/Singapore-International-Graduat
SgIS:
দামি কিছু বৃত্তির মধ্যে এটি একটি অন্যতম।
Thailand:
ব্যাচেলরদের এখানে ফ্রী পড়ার সুযোগ আছে। শুধু মনে রাখতে হবে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেঙকিং কত ভালো? কোন দেশে এটা অবস্থিত তা দেখে কাজ নেই। দিন শেষে দক্ষ হওয়াই আসল কাজ।
Royal Thai Government Scholarship Program:
…/royal-thai-gov…
India:
পাশের দেশ হওয়াতে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালোই যাচ্ছে। ব্যাচেলরের সংখ্যা একটু বেশি। আমাদের দেশে সাম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে। যারা মনের মত বিষয়, বিশ্ববিদ্যালয় পাবেনা তারা কোন চিন্তা ছাড়া বাহিরের দেশে আবেদন করতে থাক।
ICCR:
Saudi Arabia:
মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে বের হলে মিডেল-ইস্টের দেশ গুলোতে যেয়ে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারেন। জেনারেল লাইনের শিক্ষার্থীরাও ওয়েলকাম। বেশ প্রসিদ্ধ সৌদি সরকারের বৃত্তি গুলো।
KAUST:
KAU Scholarship:
Qatar:
বিশ্বকাপের মৌসুমে কাজের সুযোগ বাড়বে। এমনিতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেংক ভালো। অনেক বাংলাদেশী পরিবার বা রিলেটিভ থাকে এই দেশ গুলোতে। তাদের কাছে একটু পরামর্শ নিতে পারেন এপ্লিকেশনের আাগে।
Qatar University:
Australia:
সাধাণত ব্যাচেলরে ২৫% টিউশন ফিসের ছাড় দেয়। মাস্টার্সেও তেমন স্কলারশিপ দেয়না। টিউশন ফিস বেশি হলেও খণ্ডকালীন চাকরির সহজলভ্যতা, উন্নত শিক্ষা, স্থায়ী বসবাসের সুবিধা এবং ইংলিশ স্পিকিং দেশ হওয়াতে আমাদের শিক্ষার্থীরা বেশ আগ্রহ নিয়ে আবেদন করে। বেশিরভাগের পারিবারিক সাপোর্ট থাকে। যাদের ভালো ব্যাংক সাপোর্ট আছে তারাই আবেদন করা উচিৎ। ভালো IELTS স্কোর ছাড়া আবেদন করলে ভিসা জটিলতায় পরতে পারেন। কিছু স্কলারশিপ আছে গবেষণা ও মেধাবীদের জন্য।
Australia Award Scholarship:
RTP Scholarship:
New Zealand:
অস্ট্রেলিয়াকে অনুসরণ করে বেশিরভাগই। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের আইন একটু কঠিন করেছে ইমিগ্রেন্টের জন্য। এমবাসি থেকে একটু জটিল ধরনের প্রশ্ন করে ভিসা অফিসার। আমি চারবার ভিসা রিজেক্ট খেয়ে ইউরোপে আসলাম। 😐 সুতরাং ভিসা অফিসারকে সামলাতে হবে ভিসা পেতে হলে। 🤓
NZ International Scholarships:
ADB Scholarships:
…/asian-development-bank-japan-s…
উপরে উল্লেখীত বৃত্তি গুলো ছাড়াও নিচের কিছু বৃত্তি সকল দেশের জন্য আবেদন করতে পারেন।
ইউরোপের যত বৃত্তি আছে বাংলাদেশীদের জন্য তার তথ্য এইখানে পাবেনঃ
Europe
ইউরোপের যত বৃত্তি আছে বাংলাদেশীদের জন্য।
শর্ট কোর্স, ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পি.এইচ.ডি।
শুধু মাত্র IELTS ও রানিং চাকরী দিয়ে আবেদন করতে পারেন ব্যাচেলর (IELTS only) ও মাস্টার্সের বৃত্তি গুলোতে। PHD-এর জন্য ভিন্ন পদ্ধতি। শর্ট কোর্সে IELTS লাগেনা তবে চাকরী বাধ্যতামূলক। তাই লিংকে প্রবেশ করে জেনে নিন কি কি কাগজ লাগাবে, আবেদনের সময় এবং প্রক্রিয়া।
Erasmus Mundus:
ইউরোপের সবচাইতে প্রসিদ্ধ এই বৃত্তির কথা অনেকেই জানি। এটা সকল ই. ইউর দেশ নিয়ে ই. ইউ. কমিশন থেকে বৃত্তি প্রধান করা হয়। এক-এক দেশে এক-এক সেমিস্টার পড়াশোনা করবেন। এবছর যতটুকু জেনেছিলাম ৬০+ বাংলাদেশিরা এই বৃত্তি পেয়েছেন। শুধু মাস্টার্স ও পি. এইচ. ডি শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেন।
The Netherlands:
OKP: শর্ট কোর্সে বেশি পান বাংলাদেশিরা। এক বছরে তিনবার আবেদন করতে পারেন। মাস্টার্স বছরে একবার শুধু সেপ্টেম্বরে আবেদন করতে পারেন। পি. এইচ. ডির জন্য সব সময়ই আবেদন করতে পারেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে পড়ার সুযোগ আছে। তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সকল তথ্য পাবেন। নেদারল্যান্ডস লিস্টের প্রথম দিকে রাখতে পারেন কারণ ইউরোপের মধ্যে সবচাইতে বেশি স্টাফিন দেয় তারা এবং পি. এইচ. ডি. চাকরী হিসেবে গন্য হয়।
University Excellence Scholarship:
ফুল-ফ্রী বা টিউশন ফি কম নেয়। ব্যাচেলর বা মাস্টার্সের ছাত্ররা Holland Scholarship-এ এপ্লিকেশন করতে পারেন। যে কোন দুটা বৃত্তিতে একসাথে আবেদন করা যায়।
Finland:
এবছর ২০১৯-এ বাংলাদেশীরা সবচেয়ে বেশি রিফিউজ খেল সেলফ্ ফান্ডের শিক্ষারথীরা। ভালো ভাবে প্রিপারেশন নিয়েন ভাইভা ও এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য। মনে রাখবেন প্রকৃত ছাত্রদের ভিসা কেউ আটকাতে পারে না।
Finnish Government Scholarship:
EDUFI:
Sweden:
অনেকেই বিজ্ঞাপন দেয় without IELTS-এ পরিবার সহ সুইডেনে নাগরিকত্ব করিয়ে দেয়। সাথে নিচে দেয়া বৃত্তি গুলো নাকি করিয়ে দেয়। এমন লোভনীয়
বিজ্ঞাপনে কান দিছেন তো কিছু টাকা ও সময় নষ্ট করলেন। কোন এজেন্সি কেন কারো সাধ্য নেই যে কাউকে বৃত্তি এনে দিবে। বৃত্তি সকল দেশেই এডমিশন বোর্ড, প্রফেসর ও বৃত্তি মঞ্জুরি কমিশন সেন্ট্রালি জাজমেন্ট করে প্রার্থী বাছাই করে। সুতরাং বৃত্তি পেতে হলে অবশ্যই যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।
Swedish Institute Scholarship:
Swedish Scholarship:
Germany:
আমাদের মধ্যে-বিত্তের শেরা পছন্দ। কোন কথা হবে না। ইউ হেবটু। 😎
ব্যাচেলরে আবেদন করতে আমাদের এ-লেভেল থাকা প্রয়োজন। সাধারণ শিক্ষা বোর্ড থেকে এক বছর শেষ কারা পরে আবেদন করতে পারাে। যেহেতু টিউশন ফিসের চিন্তা নেই তাই ব্যাচেলর করা সহজ। মাস্টার্স বা গবেষণা শিক্ষার্থীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক গ্রুপ আছে, সেখান থেকে সকল তথ্য পাওয়া যায়।
DAAD:
Switzerland:
এই পাহার পর্বতে, ঝর্ণা নদীতে….. কি ড্রিম দেখা শুরু করে দিলেন? দেখেন যদি ETH Zurich-এ কেউ আসেন তাহলে ড্রিম থেকে বড় কিছু আর কি’বা হয়?
Swiss Governments Excellence Scholarship:
ETH Zurich:
ভারতীয় ই. ইউ হাব বা আই. টি হাব এটা বলতে পারেন। তাদের সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো থেকে তাই বুঝতে পরলাম। পৃথিবীর নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১০ থেকে ২০ এর মধ্যে সিরিয়াল থাকে। 🤑🤓
Austria:
গত কিছু বছর এমবাসি এপয়েন্টমেন্ট ও ভিসা জটিলতায় আমরা বেজায় সুযোগ, সুবিধা মিস করছি! তবে চেস্টা করতে পারেন। ইউরোপের বেশ শান্তিপ্রিয় ও শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ উন্নত। তারা জার্মানদের ফলো করে সবসময়। হয়ত আপনার সাবজেক্ট অস্ট্রিয়াতেই সবচাইতে ভালো কিছু শেখায়।
OeAD:
Belgium:
Leuven-এর নাম হ্যালেন্ডের বাতাসে শুনি। VUB-এর ও বেশ নাম আছে। তবে তারা পড়াশোনা শেষে চাকরির জন্য আবেদন করতে দেয়না। শুধুই পড়াশোনা করতে চাইলে লিস্টে রাখতে পারেন।
VLRIOUS:
Government of Flanders Master Mind Scholarships for International Students:
Denmark:
আই.টি. সেক্টর ভুম করেছে কিন্তু তার জন্য পর্যাপ্ত লোকজন নেই এখানে। Techplomecy নিয়ে একটু Google করবেন! হতে পারে আমাদের টেক-টেলেন্টরা ভালো সুযোগে পেতে পারে।
Danmark Government Scholarship:
UK:
সিলটি ভাইছাবরা খিতা বালানি? বেশি বেশি চেস্টা করুইন। পাইলাইবেন। 😎
যাইহোক, বৃটিশরা তাদের ফিস পেয়িং শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি কমানোর গেজেট পাস করেছে এবছর। তাই ব্যাচেলরদের জন্য পড়াশোনা করা কিছুটা সহজ হবে। তবে মাস্টার্স বা গবেষণা শিক্ষার্থীদের জন্য নিচের দুটি বৃত্তিও বেশ প্রসিদ্ধ।
Commonwealth Scholarship:
British Chevening Scholarship:
France:
নিরবে ভিসা রিজেক্ট করে। 😑😐 এক ভাইকে চিনি উনি নেদারল্যান্ডসে ব্যাচেলর শেষে মাস্টার্সএ ফ্রান্সে আছেন বৃত্তি নিয়ে। সুতরাং, বৃত্তি নিয়ে প্রকৃত ছাত্র হিসেবে এমবাসি ফেস করলে ভিসা জটিলতা পরতে হবেনা বলে আমার বিশ্বাস। PHD-এর জন্য কোন সমস্যা হবে বলে মনে করিনা।
Eiffel Scholarship:
The Emile-Boumty Scholarship for Science:
Italy:
ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের আত্মীয়রা বেশি আবেদন কারেন। গতবছর দেখেছিলাম ইরাসমাস বৃত্তি নিয়েও ভিসা জটিলতায় পরেছে আমাদের শিক্ষার্থীরা। তবে ১৯-এ হয়ত এমন হয়নি।
Italian Government Scholarship:
Hungary:
ব্যাচেলর-ও আবেদন করতে পারো। ফিস পেয়িংরা এখানে টিকেনা বেশিদিন। তাই বৃত্তির বিকল্প নেই।
Stipendium Hungaricum:
Estonia:
ব্যাচেলর আরামে শেষ করতে হলে ইউরোপের মধ্যে এই দেশটি বেছে নিতে পারো। Tallinn Teach সেরা পছন্দ হবে। আবারও বলবো Without IELTS-এ আবেদন করে সময় ও টাকা নষ্ট করবার কোন বুদ্ধির কাজ হবেনা।
Estonian Scholarships:
Portugal:
PHD-এর জন্য সুযোগ আছে। তবে ব্যাচেলর বা মাস্টার্সে তেমন ভিসা পাইনা আমরা। Without IELTS- এপ্লিকেশন করে বেশি। পড়াশোনার রিয়েল ইন্টেনশান না থাকলে যা হয় আরকি।
DGES:
Czech Republic:
অনেক কম টিউশন ফিসে ভালো পড়াশোনা হয়। তবে স্কলারশিপ অপরচুনিটি নাই বললেই চলে। আবারও বলবো Say no to apply without IELTS. লাইফ সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয় আছে।
Government Scholarship for Developing Countries:
Luxembourg:
টিউশন ফিস নেই। এডমিশন পাওয়া একটু কষ্টের বেপার। যোগ্যতা থাকলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন। এবছর Without IELTS-এর আবেদন কারি শিক্ষার্থীরা এডমিশনই পায়নি দেখলাম। সুতরাং দিন দিন সুযোগ সন্ধানি অছাত্ররা বঞ্চিত করছে প্রকৃত শিক্ষার্থীদের সুযোগ গুলো। তাই প্রকৃত যোগ্যতা অর্জনের বিকল্প নেই।
Free of Tuitions:
Norway:
PHD চাকরি হিসেবে কাউন্ট হয়। মাস্টার্স ফুল ফ্রী টিউশন। No bachelor opportunity for us.
Free of Tuitions:
Ireland:
হাই টিউশন ফিস। তবে ভালো কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ আছে। বৃত্তির সুযোগ তেমন নাই। ব্যাচেলর বা মাস্টার্সে IELTS বাধ্যতামুলক।
Ireland Government Scholarship for Postgraduate:
Spain:
আমার তেমন কোন ধারণা নেই এই দেশটি নিয়ে। তবে লিংকে সব দেয়া আছে। স্পেন বড়ো দেশ হয়তো সুযোগ বেশি।
MACE-AECID:
Iceland:
Same comment as Spain except size of the country.
University Excellence Scholarship:
Malta:
নাম মাত্র কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেমন ডোমেইন একাডেমি। এমন কলেজে ট্রাই করছেন তো মরছেন। অতি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশীদের ভিসা জটিলতা দেখা দিচ্ছে। তাই নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ছাড়া বিকল্প নেই। এমনকি বৃটিশ কিছু কলেজ আছে তাদের থেকেও দুরে থাকবেন। ব্যাচেলর বা ডিপ্লোমা করার সুযোগ আছে এদেশ।
University of Malta:
Poland:
এমবাসি এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে সমস্যা। তবে কম টিউশন ফিসের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পড়াশোনার মান ভালো। কিছু ভাই দেখলাম পড়াশোনা শেষে ভালো আছেন।
All About Poland Scholarship:
Lithuania:
শুধু ভিসার কথা চিন্তা করে আবেদন করতে চাইলে ভুল করবেন।
Lithuanian State Scholarship Program:
Latvia:
No Scholarship:
Same comment as Lithuania.
Russia:
ব্যাচেলর রাশিয়ান ভাষায় পড়লে বৃত্তি দেয়। রাশিয়াকে ইউরোপের গেটওয়ে হিসেবে ব্যাবহার করা অসম্ভব। সাথে ইউক্রেনও ওনেক বাংলাদেশিরা আসে।
যাইহোক, নিউক্লিয়ার, রকেট সাইন্স, এরোস্পেস নিয়ে ব্যাচেলর মাস্টার্স করতে চাইলে রাশিয়া ভালো চয়েস।
আমাদের দেশে এবার নয় লাখ HSC পাশ করে বের হয়েছে। তাদের সকলে যেহেতু দেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নেই তাই রাশিয়া, তুর্কী, চায়না সহ যে দেশ গুলোতে সহজে পড়াশোনা করা যায় সেখানে যাওয়া উচিত।
Russian Government Scholarship:
Turkey:
ব্যাচেলরে স্টাফিন সহ পড়তে চাইলে রাশিয়ার মতো Turkey Burslari. মাস্টার্স বা গবেষণা শিক্ষার্থীরাও সাবজেক্ট অনুযায়ী আবেদন করতে পারেন।
Turkey Burslari:
Marie Sklodowsca Curie Fellowship:
This scholarship is only for PHD students.
Any Country in the world:
Prime minister fellowship:
১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলে এটা ট্রাই করবেন।
(A big file so please wait until downloaded it)
Bangabandhu Science and Technology:
বিজ্ঞান নিয়ে যত সাবজেক্ট আছে তাতে পড়তে চাইলে…,
Fellowship Trust:
World Bank Scholarship Program:
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গুলোতে কাজ করতে চাইলে তাদের সাথে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিন বৃত্তি নিয়ে।
International Masters Fellowship (for Public Health):
ডাক্তার শিক্ষার্থীদের জন্য।
OFID Scholarship:
প্রাইভেট ফান্ড।
Listed Countries in the World:
AGA Khan Scholarship:
WMI:
Online Free Study By Reputed World Ranking University:
EdX:
University of People:
OFID Scholarship:
প্রাইভেট ফান্ড। যোগ্যতা থাকলে অবশ্যই আবেদন করবেন।
উপরের বৃত্তি গুলো ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বৃত্তি থাকে যেটা ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পবেন।
Abroad Inquiry প্লাটফর্ম থেকে প্রতিটি স্কলারশিপ আলাদা ভাবে আমাদের টীম আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও বিদেশে পড়তে চাইলে যেকোন প্রশ্ন আমাদের গ্রুপে লিখবেন। সকলে মিলে আপনাদের স্বপ্ন সত্যি করার চেষ্টা করবো।
আমেরিকা, ওশেনিয়া, এশিয়া ও আফ্রিকা নিয়ে যত বৃত্তি আছে তা আগমী পর্বে উল্লেখ করবো ইনশাআল্লাহ।
শেষ কারার আগে বলতে চাই আপনাদের শেয়ার আমাদের অনেক অনুপ্রেরণা দেয় নতুন পোস্ট লেখার, নতুন কিছু নিয়ে সামনে আসার জন্য। স্কলারশিপের জন্য প্রয়োজনীয় এই লেখাটি অন্তত শেয়ার করে অন্যকেও উপকার করতে পারেন। সকালে জন্য শুভ কামনা। ধন্যবাদ।
মূল লেখা
ইউরোপের ভার্সিটিগুলোর পোস্ট এখানে
ইউরোপ ছাড়া বাকি গুলোর পোস্ট এখানে